তৃণমূলের উপপ্রধানের বাড়িতে হামলা চালালো তৃণমূলের কর্মীরাই : পুলিশের দ্বারস্থ উপপ্রধান

10th February 2021 8:56 pm বর্ধমান
তৃণমূলের উপপ্রধানের বাড়িতে হামলা চালালো তৃণমূলের কর্মীরাই : পুলিশের দ্বারস্থ উপপ্রধান


নিজস্ব সংবাদদাতা ( পঃ বর্ধমান ) : পঞ্চায়েত অফিস নয় রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের টোকেন দিতে হবে তৃণমূল কংগ্রেসের দলীয় কার্যালয় থেকে।স্থানীয় কিছু তৃণমূল কর্মীর এই অন্যায় দাবী মেনে নিতে না পারায় এবার মহিলা পঞ্চায়েত উপ প্রধানের বাড়ী ঢুকে তান্ডব চালালো স্থানীয় কিছু তৃণমূল কর্মীই, উঠল শ্লীলতাহানির অভিযোগ। তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েত উপ প্রধান এখন দলীয় কিছু কর্মীদের হাত থেকে বাঁচতে পুলিশের সাহায্য প্রার্থনা করছেন। ঘটনাটি দুর্গাপুরের কাঁকসা থানার অন্তর্গত গোপালপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বামুনারা এলাকায়। তৃণমূল পরিচালিত কাঁকসার গোপালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপ প্রধান শম্পা পালের অভিযোগ, স্বাস্থ্য সাথীর ছবি তোলার কাজ শুরু হচ্ছে এলাকায়, প্রধানের নির্দেশমাফিক ছবি তোলার টোকেন দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে পঞ্চায়েত অফিস থেকেই আর কিছু টোকেন তিনি ঘর থেকে দিচ্ছিলেন যারা সময়মতো কাজের সময়ে পঞ্চায়েত অফিস যেতে পারছেন না, কিন্তু হঠাৎই বাপ্পা   গোস্বামী, সজল রায় সহ আরো বেশ কিছু সক্রিয় তৃণমূল কর্মী এসে তার কাছে দাবী জানাই পার্টি অফিস থেকে দিতে হবে ঐ টোকেন, কিন্তু সরকারী কাজ সরকারী অফিস থেকেই হওয়া উচিত এই কথা বলার পর দলবল নিয়ে এসে এই স্থানীয় তৃণমূল কর্মীরা তার ঘরে এসে চড়াও হয়, সাথে চলে অশ্রাব্য ভাসাতে গালিগালাজ, এমনকি তার শীলতাহানি করা হয় বলেও অভিযোগ করেছেন গোপালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান শম্পা পাল। এই তান্ডব বাহিনীর হাত থেকে রক্ষা পাননি তৃণমূল কংগ্রেসের বামুনারা অঞ্চলের প্রাক্তন অঞ্চল সভাপতি বিকাশ রায়ও, তার বাড়ীতে এসেও অভিযুক্তরা শাসানি দিয়ে যায় বলেও অভিযোগ উঠেছে, এইভাবে চলতে থাকলে দলের ভোটের ফল খুব খারাপ হবে বলে তৃণমূলের প্রাক্তন অঞ্চল সভাপতি বিকাশ রায়ের অভিযোগ।এই দিকে দলেরই এই গোষ্ঠীদ্বন্দে এখন বেশ বিড়ম্বনায় ঘাস ফুল শিবির, খোদ দলের টিকিটে নির্বাচিত মহিলা পঞ্চায়েত উপপ্রধান কাঁকসা থানায় লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন, চাইছেন নিরাপত্তা। দলের প্রবল গোষ্ঠীদ্বন্দে এখন প্রবল বিড়ম্বনায় পড়ে যাওয়া তৃণমূল নেতৃত্ব আইন আইনের পথে চলবে বলে অস্বস্তি এড়িয়েছেন। কাঁকসা ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি দেবদাস বক্সী জানান পুলিশ তার নিজের মতো করে কাজ করুক।বিজেপি নেতা অমিতাভ বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেছেন,এতদিন এই রাজ্যে নারী নির্যাতন নিয়ে আমরা যা যা কথা বলেছি অভিযোগ করেছি আজ সেই কথাগুলো সত্যি হচ্ছে যার উদাহরণ খোদ তৃণমূল কংগ্রেসের মহিলা উপ প্রধানের শ্লীলতাহানির অভিযোগ তোলা সেটাও আবার দলীয় কর্মীদের একাংশের বিরুদ্ধে। সব মিলিয়ে তৃণমূলের টিকিটে নির্বাচিত একজন খোদ গ্রাম পঞ্চায়েত উপপ্রধান যেভাবে দলীয় কর্মীদের একাংশের বিরুদ্ধে অন্যায় দাবী না মানার জন্য  শ্লীলতাহানির অভিযোগ তুলে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন তাতে করে এখন প্রবল বিড়ম্বনার মুখে পশ্চিম বর্ধমান জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব ।





Others News

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) : প্রায় এক বছর আগে আবেদন করেও মেয়ের জাতিগত শংসাপত্র মেলেনি । আবেদনকারীদের জাতি শংসাপত্র দেওয়ার
ক্ষেত্রে দেরি করা যাবেনা বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।কিন্তু বাস্তবে ঠিক তার উল্টোটাই ঘটে চলেছে।প্রায় এক বছর আগে  চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে  আবেদন করেছিলেন মা।কিন্তু মেয়ে কে পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসলেও জাতি  শংসাপত্র আজও না মেলায় কার্যত হতাশ হয়ে পড়েছেন পূর্ব বর্ধমানের মেমারির রাধাকান্তপুর নিবাসী ঊর্মিলা দাস।ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য ঊর্মিলাদেবী বৃহস্পতি বার মেমারি ১ ব্লক বিডিও অফিসে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন। শংসাপত্র পাবার জন্য বিডিও সাহেব কি ব্যবস্থা করেন সেদিকেই এখন তাকিয়ে ঊর্মিলাদেবী। 

বিডিওকে লিখিত আবেদনে ঊর্মিলাদেবী জানিয়েছেন ,তাঁর স্বামী মানিক দাস দৃষ্টিহীন প্রতিবন্ধী ।বছর ১০ বয়সী তাঁদের একমাত্র কন্যা গ্রামের বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত কালে তাঁর ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য তিনি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারী আবেদন করেছিলেন।  উর্মিলাদেবী বলেন ,তার পর থেকে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে  গেলেও তিনি তাঁর মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পান না।মেয়ের পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসায় গত অক্টোবর মাসের শেষের দিকে তিনি শংসাপত্রের বিষয়ে মেমারি ১ ব্লকের বিডিও অফিসে খোঁজ নিতে যান।জাতি শংসাপত্র বিষয়ের বায়িত্বে থাকা বিডিও অফিসের আধিকারিক তাঁকে অনলাইনে এই সংক্রান্ত একটি নথি বের করে আনতে বলেন । অনলাইনে সেই নথি বের করেনিয়ে তিনি ফের ওই আধিকারিকের কাছে যান । তা দেখার পর ওই আধিকারিক তাঁকে  ২০ দিন বাদে আসতে বলেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন , তিনি ২৫ দিন বাদে যাবার পর ওই আধিকারিক তাঁকে গোপগন্তার ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে গিয়ে খোঁজ নেবার কথা বলেন । তিনি এরপর গ্রামপঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যান । নথি ঘেঁটে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে কোন ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি।ঊর্মিলাদেবী দাবী করেন ,এই ভাবে তিনি একবার বিডিও অফিস , আবার পঞ্চায়েত অফিসে দরবার করে চলেন । কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছু হয় না। মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য  গত ১৩ ডিসেম্বর ফের তিনি বিডিও অফিসে যান ।ওই দিনও বিডিও অফিসের জাতি শংসাপত্র বিষয়ক বিভাগের আধিকারিক তাঁকে একই ভাবে পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যেতে বলে দায় সারেন। পরদিন তিনি পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে গেলে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ ফের জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে  ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি । কেন মেয়ের জাতি শংসাপত্র পাচ্ছেন না সেই বিষয়ে  না পঞ্চায়েত না ব্লক প্রশাসনের কর্তৃপক্ষ কেউই তাঁকে কিছু জানাতে পারেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন ,পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তির আগে তার মেয়ে যাতে ওবিসি শংসাপত্র পেয়ে যায় তার ব্যবস্থা করার জন্য এদিন তিনি বিডিওর কাছে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন । মেমারী ১ ব্লকের বিডিও আলী মহম্মদ ওলি উল্লাহ এদিন বলেন ,“জাতি শংসাপত্র পাবার জন্য হাজার হাজার আবেদন জমা পড়ছে । তবে ঊর্মিলাদেবীর কন্যা দ্রুত যাতে বিবিসি শংসাপত্র দ্রুথ পান সেই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে “। মেমারির বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য্য বলেন,’মেমারি  বিধানসভা এলাকার আবেদনকারীরা দ্রুত যাতে জাতি শংসাপত্র পান সেই বিষয়ে প্রশাসনকে আরও তৎপর হওয়ার কথা বলবো’।