নিজস্ব সংবাদদাতা ( পঃ বর্ধমান ) : পঞ্চায়েত অফিস নয় রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের টোকেন দিতে হবে তৃণমূল কংগ্রেসের দলীয় কার্যালয় থেকে।স্থানীয় কিছু তৃণমূল কর্মীর এই অন্যায় দাবী মেনে নিতে না পারায় এবার মহিলা পঞ্চায়েত উপ প্রধানের বাড়ী ঢুকে তান্ডব চালালো স্থানীয় কিছু তৃণমূল কর্মীই, উঠল শ্লীলতাহানির অভিযোগ। তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েত উপ প্রধান এখন দলীয় কিছু কর্মীদের হাত থেকে বাঁচতে পুলিশের সাহায্য প্রার্থনা করছেন। ঘটনাটি দুর্গাপুরের কাঁকসা থানার অন্তর্গত গোপালপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বামুনারা এলাকায়। তৃণমূল পরিচালিত কাঁকসার গোপালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপ প্রধান শম্পা পালের অভিযোগ, স্বাস্থ্য সাথীর ছবি তোলার কাজ শুরু হচ্ছে এলাকায়, প্রধানের নির্দেশমাফিক ছবি তোলার টোকেন দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে পঞ্চায়েত অফিস থেকেই আর কিছু টোকেন তিনি ঘর থেকে দিচ্ছিলেন যারা সময়মতো কাজের সময়ে পঞ্চায়েত অফিস যেতে পারছেন না, কিন্তু হঠাৎই বাপ্পা গোস্বামী, সজল রায় সহ আরো বেশ কিছু সক্রিয় তৃণমূল কর্মী এসে তার কাছে দাবী জানাই পার্টি অফিস থেকে দিতে হবে ঐ টোকেন, কিন্তু সরকারী কাজ সরকারী অফিস থেকেই হওয়া উচিত এই কথা বলার পর দলবল নিয়ে এসে এই স্থানীয় তৃণমূল কর্মীরা তার ঘরে এসে চড়াও হয়, সাথে চলে অশ্রাব্য ভাসাতে গালিগালাজ, এমনকি তার শীলতাহানি করা হয় বলেও অভিযোগ করেছেন গোপালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান শম্পা পাল। এই তান্ডব বাহিনীর হাত থেকে রক্ষা পাননি তৃণমূল কংগ্রেসের বামুনারা অঞ্চলের প্রাক্তন অঞ্চল সভাপতি বিকাশ রায়ও, তার বাড়ীতে এসেও অভিযুক্তরা শাসানি দিয়ে যায় বলেও অভিযোগ উঠেছে, এইভাবে চলতে থাকলে দলের ভোটের ফল খুব খারাপ হবে বলে তৃণমূলের প্রাক্তন অঞ্চল সভাপতি বিকাশ রায়ের অভিযোগ।এই দিকে দলেরই এই গোষ্ঠীদ্বন্দে এখন বেশ বিড়ম্বনায় ঘাস ফুল শিবির, খোদ দলের টিকিটে নির্বাচিত মহিলা পঞ্চায়েত উপপ্রধান কাঁকসা থানায় লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন, চাইছেন নিরাপত্তা। দলের প্রবল গোষ্ঠীদ্বন্দে এখন প্রবল বিড়ম্বনায় পড়ে যাওয়া তৃণমূল নেতৃত্ব আইন আইনের পথে চলবে বলে অস্বস্তি এড়িয়েছেন। কাঁকসা ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি দেবদাস বক্সী জানান পুলিশ তার নিজের মতো করে কাজ করুক।বিজেপি নেতা অমিতাভ বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেছেন,এতদিন এই রাজ্যে নারী নির্যাতন নিয়ে আমরা যা যা কথা বলেছি অভিযোগ করেছি আজ সেই কথাগুলো সত্যি হচ্ছে যার উদাহরণ খোদ তৃণমূল কংগ্রেসের মহিলা উপ প্রধানের শ্লীলতাহানির অভিযোগ তোলা সেটাও আবার দলীয় কর্মীদের একাংশের বিরুদ্ধে। সব মিলিয়ে তৃণমূলের টিকিটে নির্বাচিত একজন খোদ গ্রাম পঞ্চায়েত উপপ্রধান যেভাবে দলীয় কর্মীদের একাংশের বিরুদ্ধে অন্যায় দাবী না মানার জন্য শ্লীলতাহানির অভিযোগ তুলে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন তাতে করে এখন প্রবল বিড়ম্বনার মুখে পশ্চিম বর্ধমান জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব ।